51 / 100

মাইক্রো কসমেটিক খতনা

মাইক্রো কসমেটিক খতনা / মুসলমানি সার্জিকেল মুসলমানির পরবর্তী উন্নত পদ্ধতি। যেটা আমার ৩৫ বৎসরের চিন্তা ভাবনার ফসল। সার্জিকেল মুসলমানি হলো যা কেটে কেটে করতে হয়। যার নামেই হলো ডিসেকসান মেথড। আমি যখন ৩৫ বৎসর আগে সার্জিকেল মেথডে মুসলমানি করতাম তখন অনেকটা আঁকা বাঁকা থাকত এবং নিচ দিয়ে ঝুলে থাকত, দুই সিলাইয়ের মাঝখানে একটা দাগ থাকত। বিশেষ করে কিছু বাঁচ্চার ক্ষেত্রে মুসলমানির করানোর প্রায় একমাস পর  চামড়ার নিচে কিছু গুটির মতো দেখা যেত।  এই গুটি গুলো ভিতরে রক্তনালী বন্ধের জন্য যে বিদেশী সুতা দ্বারা গিট্টু বা নট দেওয়া হত সেগুলো না মেশার কারণে হয়ে থাকত। কারো কারো ভিতরে ইনফেকশান হয়ে সাদা হয়ে যেত, চাপ দিলে ভিতর থেকে বের হয়ে চলে আসত। যাদের ইনফেকশান হতো না তাদের গুলো ভিতরে থেকে যেত।বলা হত যে, একটু গোল দেখা যাবে কিন্তু কোন অসুবিধা হবে না। তখন থেকেই চিন্তা শুরু হলো কিভাবে উন্নতমানের মুসলমানি করা যায়। বর্তমানে আল্লাহর অশেষ কৃপায় মাইক্রো কসমেটিক খতনাতে রক্ত বন্ধের জন্য আধুনিক মেশিন ব্যবহার করার কারণে ভিতরে আর গিট্টু বা নট দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কাটার পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়ার কারণে গুটি ও থাকে না, আঁকা বাঁকাও থাকে না, কোন দাগও থাকে না। আজকে যে মুসলমানি হয়েছে তা বুঝার কোন উপায় নেই। দ্বিতীয় বার ডাক্তারের কাছে আসার প্রয়োজন নেই।